জিরো বাউন্ডারি কবিতার তৃতীয় বর্ষ/ দ্বিতীয় সংখ্যার জন্য লেখা জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ। দুটো কবিতা বা কবিতা বিষয়ক মৌলিক লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেলে-0boundarykabita17@gmail.com

ব্লগে অনুসন্ধান করুন

আফজল আলি





দ্বিতীয় বর্ষের শুরু হল। কবিতা নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক কথা লিখেছি যা কিছুটা হলেও ধারণা পরিষ্কার করতে পারবে । কবিতা নিয়ে একটা কনসেপ্ট লেখার পাশাপাশি কবিতার সময় অতিক্রম,   মানুষ কেন কবিতা লেখে এবং কবিতা লেখা শেখানো যায় কিনা  -   এই সব মৌলিক গদ্য লিখেছি যা থেকে কবিতা সম্পর্কে নতুন লিখতে আসা তরুণ কবিরা অনেকটা আলোকিত হতে পারবেন। কবিরা খ্যাতি সম্মান পেতে পছন্দ করেন ;  কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যা হয় তাদের ধারণা খুব কম থাকে কবিতা সম্পর্কে । আমি কিছুটা হলেও এই দিকগুলোকে আলোকিত করার চেষ্টা করেছি। গদ্যগুলো বিভিন্ন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যেই । ভবিষ্যতে তা বই আকারে প্রকাশ করলে পাঠক উপকৃত হবেন নিশ্চয় । ব্যক্তিগত এই কথাগুলো বললাম কারণ আমাদের মধ্যে সিংহভাগ কবিই অস্পষ্ট ধারণা নিয়ে কবিতা লেখেন। সব কিছু জেনে কবিতা লিখতে হবে বা লেখা উচিত এমনটা বলছি না ;  কিন্তু মৌলিক কিছু বিষয়ে জানা থাকলে তা লেখার পক্ষে মঙ্গল এবং একজন কবির পক্ষে ও । আজকাল বিভিন্ন পত্রিকার বিভিন্ন অনুষ্ঠান হচ্ছে । আমন্ত্রিত হচ্ছেন তরুণ কবি থেকে সিনিয়র কবিগণ। এগুলো নিশ্চয় ভালো,  প্রত্যেকেই চান তাদের বিজ্ঞাপন ও প্রচার । কিন্তু যা আসল বিষয় তা হল কবিতা লেখা,  লেখাকে উন্নত ও উত্তরিত করা ।। যতদিন যাচ্ছে ততই দেখছি এই দিকটা অন্ধকার থেকে যাচ্ছে । একজন তরুণ কবির কাঁচা লেখাও ছাপা হচ্ছে পত্রিকায় । ফলে তরুণ কবি উৎসাসিত হচ্ছেন ঠিকই , কিন্তু পাশাপাশি তাঁর দক্ষতা বাড়ানোর প্রক্রিয়াটি ব্যহত হয়ে পড়ছে । তরুণ কবিরা আত্মতুষ্টিতে ভুগতে আরম্ভ করছেন এবং কবিতার গুণাগুণ সম্পর্কে অন্ধকারেই থাকছেন । একজন সম্পাদকের যদি কবিতা সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার না থাকে তাহলে যা হবার তাই হয়   তাহলে কি কেউ পত্রিকা করবেন না  ?  ব্যাপারঁটা তা নয় । পত্রিকা হোক  ,  পাশাপাশি কবিতার মান ও দেখা হোক । তবে খারাপ কাজে মন দেওয়ার থেকে পত্রিকা করা অনেক ভালো ।

প্রত্যেকেই তাঁর নিজস্ব পত্রিকা বা গোষ্ঠীকে ভালো বা উত্তম বলে থাকেন ,  আমিও বলি । তবে জিরো বাউন্ডারি তার নিজস্ব কিছু criteria রেখে কবিতা নির্বাচন করে  -   তা হল কাঁচা লেখাকে কবিতা বলে চালানো যাবে না । গত এক বছর ধরে আমরা চেষ্টা করছি ধরে রাখার । তাই যে কাজগুলো করি তা হল ভালো কবিতা সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার করতে । আমাদের জিরো বাউন্ডারি কবিতার whatsapp group এর মাধ্যমে আমি এবং অনেক সিনিয়র কবি এই কাজটি এবং প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি । একটা কথা বলতে পারি যে কবিতা লেখা শেখানো যায় । এ বিষয়ে আমি গদ্য ও লিখেছি । অন্যান্য কাজের মতো কবিতা লেখা ও একটা কাজ এবং তা ব্যক্তি মানুষের ইচ্ছা শক্তির উপর নির্ভরশীল । পরবর্তী পদক্ষেপে আনুষঙ্গিক আরো কিছু যুক্ত হয় বটে ,  তবে ইচ্ছা শক্তিই শেষ কথা ।

যে কথাগুলো আমি বা আমরা বলি কবিতা সম্পর্কে তা আগে কেউ সেভাবে বলেননি । এই না-বলা দিকগুলোই বলতে ভালো লাগে । না হলে নতুন চিন্তা  ,  নতুন আলো আসবে কীভাবে । আর নতুন চিন্তা,   নতুন কথা বলতে গেলে হয়তো শহীদ হতে হয় কারণ বাস্তব খুব কঠিন । আমি চাইছি বলেই সব কিছু হয়ে যাবে না । কবিরা যশলোভী চাটুকার । সকলেই নন ,  বেশির ভাগ। আমি নিজেও হয়তো মুক্ত নই ,  তবু নিজেকে বোঝাই  ,  পরিবর্তন হওয়ার চেষ্টা করি কারণ আমি জেনে গেছি শেষ পর্যন্ত ভালো কবিতাই টিকে থাকে যা শিল্পগুণে উত্তীর্ণ  ,  যা পাঠককে সঞ্চারিত করে । সম্মানের লোভ ,  যশের আকাঙ্ক্ষা,   ল্যাংমারা  - এ সবই সাময়িক । তাই একটু খোলাখুলিই আবেদন রাখলাম  -   সাবধান হোন ,  প্ররোচিত হবেন না  ,  প্ররোচনায় পা দেবেন না । কবিতা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া  ;  দু পাঁচ দিনে কিছু হয় না । 

সকলের প্রতি রইল শারদীয়া শুভেচ্ছা । উৎসব কাটুক । শান্তি শান্তি 

1 comment: