জিরো বাউন্ডারি কবিতার তৃতীয় বর্ষ/ দ্বিতীয় সংখ্যার জন্য লেখা জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ। দুটো কবিতা বা কবিতা বিষয়ক মৌলিক লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেলে-0boundarykabita17@gmail.com

ব্লগে অনুসন্ধান করুন

আফজল আলি





মানুষ কেন কবিতা লেখে: একটি বিশ্লেষণ 


কবিতা কী, তার স্বরূপ কীরকম এ বিষয়ে অনেক কাটাছেঁড়া হয়েছে  -  আমি নিজেও করেছি। উত্তর আধুনিক পর্যন্ত এসে মনে হয়েছিল কবিতা সম্পর্কে ধারণা বুঝি এই শেষ, তারপর আর কিছু হয় না, সব-ই বলা হয়ে গেছে। কবিতাকে প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে,  সঙ্গে আরো অনেক কিছু। কিন্তু দেখা গেল সব কিছু বলা হয়নি ; আরো কিছু বাকি ছিল। জিরো বাউন্ডারি কনসেপ্ট এ আমি বললাম  -   কবিতার নির্দিষ্ট কিছু অক্ষ,  বলয় , চাপরাশি ,  প্রভু ,  আইটেম - এ সব নেই। এমনিতেই বাংলাবাজারে যা কবিতা লেখা হচ্ছে তার 90% ড্রামে ফেলে দিতে হবে। কবিতার নামে নিছকই কিছু শব্দের এলোমেলো অবস্থান। তাই বলে কি কেউ কবিতা লিখবে না - এমন তো হবে না । কবিতা লেখাও চলবে ,  ড্রামে ফেলাও চলবে । এর মধ্যে কেউ কেউ টিকে থাকবে। তবু কিছু মানুষ ভালো কিছু নিয়ে আছে । 

কিন্তু কথা হল মানুষ কেন কবিতা লেখে। এটার উত্তর কি সেভাবে আমরা খুঁজেছি; বোধহয় না। একজন মানুষ যখন কবিতা লিখতে শুরু করে তখন কী কী ভাবনা উঠে আসতে পারে -  

1 : কবিতা লিখতে পারে তাই লেখে 

2 : অন্য কিছুর থেকে কবিতা ভালো পারে তাই লেখে 

3 :  প্রতিভা আছে তাই লেখে 

4 : লেখার সময় তার মধ্যে famous হওয়ার ভাবনা কাজ করে,   ফলে সে প্রলুব্ধ হয় 

5 : লেখার মধ্যে দিয়ে শোক ভুলে থাকতে চায় 

6 : শরীর এবং মস্তিষ্কে কিছু একটা effect তাকে vibrate করে যা তাকে লেখার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায় অথবা শব্দ ভিতর থেকেই বেরিয়ে আসে। বাল্মীকি ধ্যন করে কবিত্বশক্তি বর হিসেবে পেয়ে ছিলেন । তাহলে কবিত্বশক্তি একপ্রকার ভিতরের  energy যা শব্দ catch করে যা দৃশ্যের প্রতিফলন  ?   Poetic energy পরিবর্তিত হয় শব্দ রূপে অথবা কল্পনার বিন্যাস ধরা হয় শব্দে যা আকার পায় 

7 : কিছু একটা নিয়ে আনন্দ পায় বলে 

8 : জন্মসূত্রে পাওয়া জেনেটিক গুণাবলির মধ্যে কবিত্বগুণ একটা হতে পারে যা তাকে ভিতর থেকে প্রকাশিত করে ।

9 : নেশাদ্রব্য গ্রহণের মতো কবিতা লেখা হতে পারে অর্থাত্ ভিতরে তৈরি হওয়া narcotic urge থেকে সে লিখতে শুরু করে ঘোরলাগা অবস্থায় ।

10 :  জীবন সম্পর্কে এমন কিছু ভাবনা তার মধ্যে আসে যা সে প্রকাশ করতে চায় ,  অর্থাত্ সে চিন্তা করে , এবং তার চিন্তার ছাপ রেখে যেতে চায় অক্ষর সমাহারে  কারণ সেই মুহূর্তে তার অন্য বিকল্প নাই । অন্য বিকল্প থাকলে সেই বিকল্পের দিকে ধাবিত হতো ; যেমন বহুমুখী প্রতিভার মানুষরা সৃষ্টির বিভিন্ন দিকে যেতে পারেন। এখানে আবার দক্ষতা ও একটা factor .

11 : কবিতা লিখে কবিখ্যাতি অর্জন কযার প্রবণতা অর্থাত্ নিজেকে establish বা বিশেষ দিকে প্রতিষ্ঠিত করার মানসপ্রক্রিয়া।

রেনে ডেকার্তে বলেছেন  - I think, therefore I exist.  
আলবার্ট কামুস বলেছেন - I rebel,   therefore I exist . 
অর্থাত্ চিন্তা করার মধ্যে বেঁচে থাকা,  প্রাথমিক এই অবস্থান উঠে এল বিদ্রোহ করা বা বিরোধিতা করার মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকা । 

মোটামুটি ভাবে দেখা যাচ্ছে যে মানুষের চিন্তা করার প্রবণতা থেকেই মানুষ বিভিন্ন দিকে গমন করে ; এই গমনের প্রকারভেদ - তার মধ্যে প্রতিভা বা জেনেটিক গুণের প্রাথমিক প্রভাব থেকেই আসে। পরবর্তী সময়ে চর্চা অভ্যাস জ্ঞানার্জন সহ নানাবিধ factor তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে । লেখার প্রাথমিক অবস্থাতেই একজন মানুষ কবিতাশিল্পকে সঠিকভাবে রপ্ত করতে পারে না; ক্রমশ practice এর মধ্য দিয়ে তার বিকাশ হয় । 

Poets are born  - এই বিশ্বাস ধরলে প্রতিপন্ন হয় যে কবিতা জন্মগত প্রতিভার বিকাশ । 

আলোচনার প্রেক্ষিতে আলোকিত হবার ফলে এটা বোঝা যাচ্ছে যে একজন মানুষ কেন কবিতা লেখেন তার পিছনে অনেকগুলো factor কাজ করে এবং এই সামগ্রিক factorগুলো যে সব একই সময়ে একজন মানুষের উপর ক্রিয়া করতে থাকে তা কিন্তু নয় । বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন factor কাজ করতে থাকে । এবং অন্যান্য কাজ successful করার জন্য একজন মানুষের যা যা প্রয়োজন একজন কবির ও  সেই গুণাবলি থাকতে হবে যাকে বলে লেগে থাকা । অর্থাত্ আর পাঁচটা কাজের মতোই কবিতা লেখা একটা কাজ । কিন্তু এই কাজ stereotype নয় বা একই ধরনের কাজ repeatation করা নয়, বা একইরকমের উৎপাদন শ্রম নয় । ঈশ্বরের সৃষ্টি যেমন বৈচিত্রে ভরা, তেমনই একজন কবির লেখা ভিন্ন ভিন্ন - হয়তো গঠন কাঠামোয় কিছুটা একইকরণ থাকে । 


ব্যাধের ক্রৌঞ্চবধের দৃশ্যে উদ্বেলিত হয়ে বাল্মীকির মুখ দিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত শ্লোক বেরিয়ে এসেছিল ; অর্থাত্ একটি প্রতিবর্ত ক্রিয়ার মতোই তা ছিল পরিস্থিতি সাপেক্ষে স্বতঃস্ফূর্ত। কিন্তু এই স্বতঃস্ফূর্ত শব্দ বেরিয়ে আসার ক্ষমতা তিনি অর্জন করেছিলেন তাঁর পাপমোচনের জন্য দীর্ঘ তপস্যার পরে। তাহলে শুরুর থেকে ধরলে ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে যে কবিতা লেখা হল ভিতরের শক্তি থেকে উৎসারিত ক্ষমতা একজন কবির রক্তবীজে থাকে । এটি হল প্রাথমিক ব্যাপার । জেনেটিক কোডে একজন মানুষের অনেক গুণাবলি থাকলেও তার বিকাশের জন্য পরবর্তী সময়ে অন্যান্য অনেক factor কাজ করে - পরিবেশ পরিস্থিতি চেষ্টা শ্রম পান্ডিত্য, টিকে থাকার মানসিকতা অর্থাত্ প্রতিভা মেধা থাকলেও যদি অনুশীলন না করা হয় তা নষ্ট হয়ে যাবেই। তাই একজন মানুষের অন্যান্য গুণের বিকাশের মতোই কবিতা বিকশিত হয় যেখানে ইচ্ছাশক্তি প্রবলভাবে ক্রিয়াশীল এবং এই ইচ্ছাশক্তিই হল মূল factor যা জিরো বাউন্ডারি কনসেপ্ট এ বলা হয়েছে । অর্থাত্ কবিতা লেখার ক্ষেত্রেও জিরো বাউন্ডারি factor কার্যকর । খুব সংক্ষেপে বললে যেটা হয় তা হল - There is no boundaries in the universe , man can achieve anything as he desires - অর্থাত্ ইচ্ছা শক্তি প্রবল হলে মানুষ কবিতা লিখতে পারে এবং যে কোনো কাজ। কবিত্ব শক্তিকে major factor ধরে এতদিন আমরা এগিয়েছি এই ব্যাপারে । কিন্তু কবিত্ব শক্তি মূল factor নয় । মূল factor হল ইচ্ছে শক্তি প্রয়োগ। ইচ্ছে শক্তির উপর দাঁড়িয়ে একজন মানুষ কবিতা লিখতে পারে এবং অন্যান্য শিল্পের ক্ষেত্রেও । বাল্মীকির কাছে প্রথম শ্লোক আসা বা তাঁর মুখ থেকে উচ্চারিত হওয়ার পর তাঁকে বলা হয়ে ছিল কবিতা, শ্লোক এবং কবিত্ব শক্তির কথা। পরবর্তী সময়ে তিনি রামায়ণ লিখেছিলেন কারণ তিনি জেনে গিয়েছিলেন যে তিনি লিখতে পারেন এবং এই জানার পরবর্তীতে ইচ্ছাশক্তি ই তাঁকে চালিত করেছে। 

বাস্তবিক ক্ষেত্রে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে যদি আমরা দেখি তিনি জীবনের কতটা পরে চিত্রচর্চায় নেমেছিলেন কেবলমাত্র ইচ্ছা শক্তির উপর নির্ভর করে এবং সাহিত্যের সর্বক্ষেত্রেই অনায়াস যাপন করতে পেরেছিলেন সেই ইচ্ছা শক্তি দিয়েই । 

আমার পরিচিত অনেক কবিকেই দেখেছি একইসঙ্গে কাব্যচর্চা সঙ্গীতচর্চা এবং অঙ্কনচর্চা করতে । এরকম অনেকেই আছেন । আবার কৃষিকাজ করেও কাব্যচর্চা করতে দেখা যায় । অর্থাত্ ব্যাপারটা জিরো বাউন্ডারি  -  কোথাও কোনও বাউন্ডারি নেই । একজন মানুষ ইচ্ছা করলেই কবিতা লিখতে পারবেন । এর জন্য দরকার কবিতা সম্পর্কে ধারণা । আর কবিতা সম্পর্কে না জানা এই সময়ে দাঁড়িয়ে অসম্ভব নয় । কিন্তু এই কাব্যচর্চার সাথে সাথে একজন মানুষির মনের মধ্যে পরিবর্তন আসতে আরম্ভ করে । তিনি তাঁর জীবনযাপন মনন পরিবেশ ইত্যাদি থেকে রসদ গ্রহণ করতে থাকেন -কখনো জীবনের মধ্যে থেকে  ,  কখনো জীবন থেকে পালিয়ে যাওয়ার তাগিদে,  কখনও দুঃখ যন্ত্রণা ভুলতে । অর্থাত কবিত্ব শক্তি দ্বারা শুরু হয়ে , ইচ্ছাশক্তি দ্বারা চালিত হয়ে একজন মানুষ ধীরে ধীরে কবি হয়ে ওঠেন যদি তিনি কবিতাই লিখতে চান। এইভাবে অন্য যেকোনো শিল্প মাধ্যমে বেছে নিতে পারেন ইচ্ছা নির্ভরতায়। ইচ্ছাশক্তির পরেই আসে সাধনা এবং কবি ক্রমশড়ি সাধক হয়ে ওঠেন । সাধনা মানে চর্চা ,  অন্তরে আত্তীকরণ । 

কবিত্বশক্তি তার লক্ষণ প্রকাশ করতে আরম্ভ করে একজন মানুষের মধ্যে তাঁর যে কোনো বয়সেই। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অল্প বয়সঃ প্রকাশ পায় এবং পরবর্তী পর্যায় চলে উদযাপনের উপর, ইচ্ছাশক্তির উপর এবং অন্যান্য চর্চা ।

আবার যদি কেউ ভাবেন তিনি কবিতা লিখবেন তাহলে তাঁর সেই ইচ্ছা ,  কবিত্ব শক্তি জাগিয়ে তুলতে পারে নিজের মধ্যে। তবে সোজা নয় কাজটি কোনোমতে। কারণ পৃথিবীর কোনো কাজ ই সোজা নয়। সমস্ত কাজ সমাধা করার জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া গ্রহণ করতেই হয়। তাই কবিতা লেখা অন্যান্য কাজের মতোই একটি কাজ। শুধু বীজ পুঁতলেই গাছ বড়ো হয় না, তাকে পরিচর্যা করতে হয়; প্রকৃতির অতলান্তে স্বতঃস্ফূর্ত সম্পদ তৈরির ক্ষেত্র ছাড়া । 

খুব আশ্চর্যের বিষয় হল একবার কবিময় র বা সৃজনীর সম্ভাবনার স্বাদ পেলে  একজন মানুষ বারবার যেতে চাইবে তার কাছে -  ঠিক নেশা দ্রব্য গ্রহণের মতো -  তাঁর ইচ্ছে তাঁকে নিয়ে যাবে কারণ সে তখন নিজেকে একাত্ম করে তোলে ,  নিজেকে খুঁজে পাওয়ার মধ্য দিয়ে ,  নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার ,  জীবিত  (  মননে )  রাখার তাগিদে এবং সে কবি হয়ে ওঠে । 

মূলত শোক থেকে উঠে আসা শব্দসম্ভার একজন মানুষকে কীভাবে মায়াতাড়িত করে রাখে জীবনভর  ,  তার চোখ তখন দৃশ্যের পর দৃশ্য খুঁজতে থাকে বা দেখতে থাকে প্রকৃতির মধ্যে  ,  মানবজীবনের মধ্যে এবং একপ্রকার আকুলিবিকুলির স্বীকার হয়ে পড়েন কবিতা- দ্বারা প্রভাবিত মানুষটি। তার ভিতরের গঠনগুলো  ( মানসিক ও  অস্তিত্বনির্ভরতার )  পাল্টে যেতে শুরু করে  ,  মন লেগে থাকে শব্দের পিঠে শব্দ সাজানো প্রক্রিয়ায় এবং ক্রমশই বেছে নেন বা হয়ে ওঠেন  শব্দ- কেন্দ্রিক বা নির্ভরতা এক জীবন  ,  চিন্তা প্রবণতার এক জীবন  -   কিছু লিখতে হবে তাঁকে । জীবনের সাথে ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে যায় কবিতা  ;  তার বাইরের সামাজিক চলাফেরা,   কাজ এ সব বজায় রেখেও ভিতরে ভিতরে গড়ে ওঠে অন্য এক জগত  ও  বোধের বিন্যাস যা থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারে না । তার লেখা যখন প্রকাশ হতে আরম্ভ করে তখন সেই ছাপা অক্ষরে নাম পুনঃপুনঃ দেখার প্রবণতা ভিতরে ভিতরে তাকে accelerate করে , ব্যক্তিটি gear up হয় । যদিও এটি একটা সময়ের পর আর থাকে না বেশি যখন সে ছাপা অক্ষরে নিজের নাম প্রকাশের সাথে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে , ততদিনে অবশ্য কবিতা নামক এক রহস্যময় জগত তাকে বাসিন্দা করে নিয়েছে। ফলে কবিতা এবং জীবন দড়ির মতো জড়াজড়ি হয়ে থাকে  ,  বিচ্ছিন্ন করা যায় না ।
তাই কবিতা হল একপ্রকার ভিতরের উন্মাদনা । ইচ্ছাশক্তি আবেগ কবিত্বশক্তি পারিপার্শিকতা সমস্ত কিছু একাকার হয়ে সমস্ত অনুষঙ্গ থেকে শক্তি বা energy গ্রহণ করে তা  convert হয় শব্দরূপে। আমরা তাকে কবিতাশিল্প বলি। অন্যান্য শিল্পের ক্ষেত্রে ও এরকমটা হতে পারে বা হয় । দুঃখের 

তাই মানুষ কেন কবিতা লেখে এর উত্তরটি তেমন জটিল নয়। ধারণা এবং চিন্তার রূপ পরিবর্তিন মাত্র। আমরা জানি পৃথিবীতে energy কখনো শেষ হয়ে যায় না, তা রূপান্তরিত হয় বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন দিকে,  এক রূপ থেকে অন্য রূপে । তেমনই চিন্তাশক্তি , ইচ্ছাশক্তি, কবিত্বশক্তি, চর্চা অনুশীলন আবেগ এবং অর্জিত প্রজ্ঞা সামগ্রিক ভাবে শব্দকাঠামো কবিতায় পরিবর্তিত হয় মাত্র । সেইজন্য কবিতালেখা একটি process বা প্রক্রিয়ার নাম । Energy বদল হতে চায় । কবিতাও সেরকম শক্তির রূপান্তর মাত্র এবং মানুষ তা ইচ্ছা করলেই করতে পারে ,  তবে তা অর্জন করতে হয় সময়সাপেক্ষে । অর্জন- পরবর্তী পর্যায়ে লেখনী কিছুটা automatic প্রক্রিয়া গ্রহণ করে নেয় ভিতর থেকে এবং সেই মানুষটা কবিতা লিখতে থাকে । আগে ভাবা যার যত  IQ বেশি  সে তত efficient. কিন্তু বর্তমান ধারণা বদলে গেছে।  IQ  সেভাবে গুরুত্বপূর্ণ  নয় । এখন EQ অর্থাত্  emotional quotient-কে মুখ্য ধরা হচ্ছে ।  অর্থাত্ একজন মানুষ তার আবেগকে ব্যবহার করে কীভাবে পরিস্থিতিকে অনুকূল করতে পারে এটিই হল তার দক্ষতার মাপকাঠি। Emotional quotient এর সাথে আরো অনেক বিষয় যুক্ত হয় যেগুলো IQ  দিয়ে বিচার করা হয় না । কাজেই কবিত্বশক্তি নির্ভরতা বলে কবিতাকে অলৌকিক আরোপিত করার যে প্রবণতা ছিল তা সঠিক নয় । কবিতা একটি প্রক্রিয়া । এই প্রক্রিয়াতে অংশগ্রহণ করতে হয় । অংশীদারি হওয়ার মানসিকতা থাকতে হয় , তাহলেই কবি হয়ে ওঠা এবং কবিতা লেখা ।

1 comment: