জীবন-- ও লতাবাহার
=================
আকর্ষি তুলে লতাগুলো টানলাম---
একপাশে শুয়ে একগুঁয়ে স্বপ্নের কামড়--
কামড়ে বসে আছে---
পাশ ফিরে থাকা অভিমানী সবুজ পাতা---
আষ্টেপৃষ্ঠে বঁাধা মায়া র জীবন টান---
অসহায় আত্মবিশ্বাসগুলো বিনামূল্যের তরকারি----
বারবার ঝুড়ি থেকে বেড়িয়ে মুক্ত হতে চাইছে---
চিৎকার করে বলতে চাইছে---
“আমি পারি আমি সব পারি আমি স্বাধীন ভাবে বঁাচতে দাও স্বাধীনভাবে থাকতে আমি কবিতার পূজারী আমাকে কবিতা-শরীরে র প্রেমে ডুবে থাকতে দাও”--
গোটা এক ঝলক চাউনি চেয়ে“জীবন”মুখ ভেঙচায়
বিষন্ন চোখে “আমলকি”খোঁজে
টাকার থলি হাতড়াতে হাতড়াতে যৌবন বিষিয়ে ফেলে--?
ঘাস থেকে সবুজ নিঙড়ে হলুদ হয়
ফুসফুস গুলো রক্ষনশীল জন্তু
সরলতার নিষ্পাপ মুখ থেঁতলে “রোজগেরে মেশিন”হয়ে যায়---
নুইয়ে পড়া কলম দেওয়া কৃত্রিম ফুল ফল-?
নারী ও পুরুষ
============
দুপুরের কুঠার রোদে চকচকে মসৃন ইউক্যালিপটাস-----
পাশের নরম ঘাসে রোমান্স করছে
জ্বলে নিভে যাওয়া বারুদের কাঠি দূরে দাঁড়িয়ে
একটি কাঠের কোষে নার্ভ থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে
সালোকসংশ্লেষ হবেই
পাতাগুলো একটু আদর চাইবে
ফুলগুলি হেলেদুলে যমুনায় নাইবে
কাঠুরিয়া কাঠের গন্ধে আনচান
“পুরুষ” ও“নারী” ----------
দুটি কান্ডের মাঝবরাবর হেলে পড়া---------
উন্মুক্ত রংয়ের নির্লজ্জ পিচকারী-------
চোখ মুখের কানকো মাছ হয়ে পড়েছে-------
একে অপরকে ভালোবেসে ব্যাঙ হতেও রাজি------
সাপের বিষে পা পিছললেও বাঘ হবে না------
সুতো গুলো জলে ফেলে দিলে------
ফুল ভেবে ভ্যালেনটাইন সাজে--------
গভীরের পঁাকে যত ই“ নারী” র রূপ ঝলসে----------
ততই আগুন নিভতে থাকে----------
নদীর পাড়ে তরী বারবার এক রবীন্দ্রসংগীতে “সুখ”পায় না-------
চঞ্চল খরগোশ একজায়গায় স্থির থাকতে পারে না-------
“চিঠি” র মর্মার্থ যতই করুন বিরহের যাতনায় অাঁকা থাকুক না কেন?
“ লুডো” দুদিকেই ছক্কা ?
“প্রথম ছক্কা ” সবথেকে বেশী প্রাণদায়ক?

Thnksssss
ReplyDelete