জিরো বাউন্ডারি কবিতার তৃতীয় বর্ষ/ দ্বিতীয় সংখ্যার জন্য লেখা জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ। দুটো কবিতা বা কবিতা বিষয়ক মৌলিক লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেলে-0boundarykabita17@gmail.com

ব্লগে অনুসন্ধান করুন

সৌরভ বর্ধন




আমরা নতমস্তকে দাঁড়াই তাদের সামনে


আমার জন্মের বহু আগে থেকেই
একটা সাধারণ মামুলি ফড়িং শায়িত পথের আঙুলে

কোমরের ভাঁজে এই গাছ থেকে
জানলাদরজা থেকে
বৃষ্টির খোঁজখবর যতই মজবুত করি
প্রতিবাত ঢালে ঝকঝকে শহর
শব্দের গন্ধে ভেঙে ওঠে মূর্তিমান রঙে

ছেনির আঘাতে যেসব সকাল ভাস্কর্য হয়ে যায় ~
পল্লবগ্রাহী বাষ্পীভবন, দূর থেকে পলল পাখার বাতাস,
উপত্যকায় দ্বিধাগ্রস্ত গরুর গাড়ি,
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় আলকাতরা-মাখা নুড়িপাথর

আমরা এসবের সামনে দাঁড়াই....

যেমন টয়লেটে ইউরিয়াযোনি থেকে
চিৎকার ছোঁড়ে ঝাঁঝালো অ্যামোনিয়ার সংগ্রাম,
রেচনঅঙ্গের ক্ষুধার্ত অভিজ্ঞতায় ভরা সন্তরণ

আমরা নতমস্তকে দাঁড়াই তাদের সামনে......

তারপর একদিন পিছিয়ে আসা স্রোতের থেকে এগিয়ে যায়
আলো আলো অনুভবের উচ্ছিষ্ট
পাড়াপড়শির উদ্ধার করা পাটের নীচে, মাটির তলায়
যাদের আত্মজীবনী শুয়ে থাকে ~ আমরা তাদের লোকালয়ে
টেনে আনি, মরুভূমিতে এনে করি বালিধোয়া 

সন্ধে সন্ধে হতে না হতে ডিমের ট্রে 
আমাদের একমাত্র ভরসার আবাসস্থল # মশকী দমনক্রিয়া

বন-ধুঁধুলের লতায় ঘেরা ঝামা-ইটের গলি বনলক্ষীর ঝাঁপি
নিয়ে বসে থাকে আমার বাবা-মা, পানাজল ঠেলে স্বর্গত
দাদু-ঠাম্মার বাৎসরিকে আমরা যাদের ছবির সামনে
এসে দাঁড়াই - তারা কীভাবে সেই শায়িত ফড়িঙের বেশে,
লোকে বলে কাক হয়ে গ্যাছে সকলের আত্নারা
এসে দাঁড়ায় ঘুমন্ত কাঁধে ~ আমি দেখি নমনীয় ঘাসসন্তান

আমরা নতমস্তকে দাঁড়াই তাদের সামনে......

এইসব গাছেদের পূর্বপুরুষ কন্দখোলা নাকি বাবলায়
আলোর ফোঁটা বিক্রি করত বাড়ি বাড়ি ঘুরে
কাছাকাছি তেঁতুল কদম ডুমুর শিশু কুলপতি নতুনগ্রাম
থিতু হয়েছিল যারা ~ পথে পথে বাগাঁচড়া হরিপুর বা
পাঁজরার ফেরিঘাট ও মফস্‌সল.....  

এসবের সামনে দাঁড়াই আজকাল ঘ্রাণ-দৃষ্টি-শ্রুতিময় 
মাটিতে বিছানো বসতিশূন্য মহাদেশে নতমস্তকে
মশাছাপা আঙুলে বিকেল কুড়িয়ে পাবার মতো করে
আমি দ্রোণফুল ভেবে দাড়াশ চুষি ~ বারোমেসে সংসার

ঈশ্বর বানানের ঈ-কে দেখি   অথবা দেখতেই থাকি

আমার জন্মের বহু আগের থেকেই
ভ্রূ নাচানো চোখের সামনে দাঁড়াই জলবিভাজিকায়





1 comment: