১) আসা-যাওয়া পথ
========================
প্রতিটি সকাল রাঙা হলেই
সাইকেলে চড়ে, বেনিমাধবের দোকানে
এক সমুদ্র যন্ত্রণা নিয়ে কত খদ্দের আসে
আলাপচারিতা চলে
কান পেতে শুনি
কত কথা, শুনি অনায়াসে
সন্ধ্যায় ভাঙা সাইকেলখানি টেনে নিয়ে যাই
তা দিয়ে সংসার চলে না
ছেলেকে স্কুলের বদলে পাঠায় বাবুর কাজের বাড়িতে
বড় হয়ে মুম্বই যাবে
মেয়েটিকে স্কুলে পাঠাই ছেঁড়া জামা পরিয়ে
অভিমান তার ঠোঁট ভারি করে
শেয়ানা হচ্ছে, তেরো কি চৌদ্দ
ভ্রমরগুলো চারিদিকে ওড়ে
আসা-যাওযা পথে কত যে সন্ধ্যাকে খুন করছি
২) অশরীরী
==================
আমার বাড়ির পাশে যে বিকেল
তাতে বৈষ্ণবীর কামছায়া দেখি
যৌনতা ওকে পীড়িত করে
গদ্য কবিতার ঢঙে ----
স্বপ্নে দেখি শ্বেতী দেওয়ালের গায়ে
মাধুকর ছোবল মারে
সদর দরজার আড়ালে
ছোঁয়ার আশায় জল চাওয়ার ভান করে
ঘটিওয়ালা হাত ছুঁলে সন্ধ্যা নামে
চাঁদ ওঠে রতির বাগানে
টুপটাপ জল ঝরে
আঠারো পেরেওনি মেয়েটির তলপেট
আমি ভরদুপুরে বাগানে বাগানে
বিমর্ষ স্বপ্নের ভুঁই পুঁতে ফেলতে
আলোর জগতে ভুতেরা অশরীরী হয়ে আছে
৩) স্বপ্ন বিলাসী
===================
বাবাকে স্বপ্নে দেখলাম পাথর ভাঙছে
ফুটো হাঁড়ি চড়িয়ে রান্না করছে মা
উঠোনে ঠেলাঠেলি করছি
টানাটানি চলছে গতকালের
পোড়া রুটি দুটো নিয়েই
বাবা গামছা জড়িয়ে ঘাম মোছে
মায়ের অশ্রু দিয়ে সেদ্ধ হচ্ছে ভাত
পোড়া ভাত পরম উপাদেয়
সুস্বাদু আশায় আশায় বসে আছে
আধ খাওয়া পেয়ারা কেড়ে নিতে
ছেলেমেয়েরা ছুটে যাই
কাঠবিড়ালীর পিছনে
সম্পর্কটা দীর্ঘদিনের খাদ্য--খাদকের
এক সময় দেখি মা বাবা বাতাসে মিলিয়ে গেল
ভোরের স্বপ্ন বুঝি সত্যি হয় নালি বাতাস বইলে
No comments:
Post a Comment