=======================
বসন্ত থেকে আনন্দ বিয়োগ করলে
পড়ে থাকে শুকনো শরীর
অথচ গৌরীর যাবার কথা ছিল না
একটা অজুহাত জুটে গেলে
পূর্ণিমা বসন্তের স্মৃতি বুকে হেঁটেছিল
সহস্র মাইল জুড়ে অতর্কিতে প্রেম
তারপর সে এক অন্য তাজমহলের কাহিনী
ইতিহাস চাপা পড়ে গেছে শিল্পীর উদাসীন বুকে
অথচ প্রেমিকের আবেগ বিরহের শোষণে
শেষ হয় ভাবের ভালোবাসা
মনের চার দেওয়ালের মাঝে কাঁদে
বিচ্ছেদের বিরহ সুরে হারিয়ে যাওয়া সুখ
প্রশ্ন চিহ্নের মত থেকেই যায় বাধা
হৃদয় গাঁথে বসন্ত আলাপের গাথা...
২) চন্দ্রাবলীর সংসার
===================
আমাদের জ্যোৎস্না রাতের ঘর
দুজনে দুজনের দেহে আলো মাখাই
মন জুড়ে ক্যাপসিক্যামের আদর
আলুপোস্ত আর মুগের ডালে রসনা তৃপ্ত
ঝাল লাগলে জলের স্নেহ মাখি...
ওপাড়ে যে কুটীর দেখা যায় গোলাপ ঘেরা
তার পাশ দিয়ে বয়ে চলে ঈশানি নদী
দুপুরে শ্রমিকের ঘাম ধুয়ে দেয় উদার কুলুকুলু স্রোত
ওটাই আমাদের শীতল আশ্রয়ের আদর
আমি মাঠে কাজ করে ফিরি যখন
ঈশানীর হাওয়ায় দোলে প্রতিক্ষারত চাঁদমুখ
খুশির হাওয়ায় জেগে ওঠে রাঙা সূর্যের রোদ
চন্দ্রাবলীর পরিশ্রমের ঘাম চেটেপুটে খাই
খিদের পাতে...
================
ওরা বলে বহিরাগত জীব
ভারতীয় জ্যোৎস্না জড়িয়ে তার জন্ম
কাশফুলের মাথা দোলানোর সাথে
আমার মত তারও হৃদয় দোলে
পৃথিবীর বাইরে পাঠায় তার ডাকচিঠি
অন্য গ্রহের বাসিন্দার মত ওরা
বহিরাগত আপ্যায়নে শত্রু ভাবে
রক্তে ভিজে যায় নীল মন
কমরেডের লাল রঙ স্বাধীনতা খুৃঁজে বেড়ায়
আমার ইচ্ছে অনিচ্ছে মিশে যায় বিষাদের ভোরে...
৪) খাদ্যপ্রাণ
==============
নদীর দুইধারে ফুটেছে কাশফুল
চারটে উপোষি উলঙ্গ বালক
কাশফুলগুলো ছেঁড়ে
টেনে আনছে শিকড়
নরম অংশটা চুষে চুষে খিদে মেটাবার
আপ্রাণ চেষ্টা
একটা টলমলে নৌকার উপর পাঁচটা
পেটমোটা মানুষ
হাতে তাদের প্রাচুর্যের নেশা
উলঙ্গ শিশুগুলোর ছবি তুলছে এক মাতাল
হাসে আর মানচিত্রের ছবি মোছে
কঙ্কালসার অসাম্য-অর্থ বন্টনের, সম্মার্জনি দিয়ে...
ছেলেগুলো র রক্তচোখে হাতমুঠো চিৎকারে নেশা ছোটে স্বেচ্ছাচারের
ওরা চিবোয় কাশরূপে সাদা ফাঁসের দড়ি
মাঝি গায় অসাম্যের গান আর
অধিকারের মিথ্যে ভাটিয়ালি...
No comments:
Post a Comment