=================
স্বচ্ছ জলে এলোমেলো চুল
পাশ কেটে যাওয়া
স্বার্থপর লোভী মাছ
স্নিগ্ধ আবেগের উথালপাথাল পাঁক
ছেলেটি
চুনোপুঁটি খুঁজছে
হাঙরের আলজিহ্বা বরাবর
এক বালতি সফল সুস্থতায় নিমজ্জিত
নিউরোন, চোখের কালো অংশ
কাঁপা ঠোঁট---
মন্দ বায়ুর চলাফেরা
শান্ত টোপে জলের ঝিকিমিকি
বড় মাছের অট্টহাস্য, মোলায়েম লুকোচুরি খেলা---\
হাতের কামড়ে পায়ের নিছক স্বাধীনতা দান
গেরুয়া আদরের প্রলেপে স্পর্শহীন “আলগা”শিহরন
“ফিলিংস” র কালো নিঝুম অস্থির মেঘ
চারিদিকে ফিসফিস “লাল কটা চোখের” আবদার ----
টানটান উত্তেজনা, ধড়ফড় বুক, চোখ মুখে কামনার গোলাপি আভা,লাজুক ইশারা----
“বৃষ্টি”নামার ঠিক আগের মূহূর্ত---
“ অস্থিরতার সুতো” ছিঁড়ে আসছে
বিকট আওয়াজ, আগুনের ফুলকি---\
বৃষ্টিতে ভেজা শ্যাওলায় “মাখোমাখো দুটি শরীর”
তৃপ্তির আধঘন্টা জলে ভাসা প্রকৃতির “ডোবা”চোখ
মুচকি হাসি
এক অদ্ভুদ সুখ ফুটে উঠেছে
শরীরের সব অঙ্গে পাখিদের কলরব”----
সুবাসিত হাওয়ায় হালকা বাদামী “সুখ”গুলির বিচরন---!
দ্যা ইংলিশ টিচার
=================
ইংলিশ টিচার
হেঁটে হেঁটে আসা আনমনা তিনতলার“ ছাদ”
ইংরেজী” নামক চারকোনা “ তলোয়ার”
দেখলেই ---
মাধ্যমিকের উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ” র ড্যাফোডিলস” কবিতাটি চোখের সামনে ভেসে ওঠে--------
সেই ফুলেদের বার বার ঘুরে বেড়ানো
আকাশ বাতাস জুড়ে “ফুলমেলা”----
বসে থাকা , উঠে দাঁড়ানো , ঘুরে বেড়ানো
বড্ড প্র্যাকটিক্যাল “চশমা” র শিক্ষা প্রদান---
চোখের গভীরতা এতটাই বেশী -----
হারিয়ে যাওয়া “প্রকান্ড মারিয়ানা খাত”---
বারবার বই চাপড়ানো আর মিষ্টি মিষ্টি ল্যাডিকানি ”ব্যবহার---“খুব ভালো হয়েছে,খুব ভালো হয়েছে”----
সাজেশনের প্রতিটি পিঠে নিমপাতার গন্ধ
পুরোটাই চাপের কঠোর“বাস্তব”----
বাঁকা বাঁকা “টেনস” ভার্ব” সেনটেনস”র আলপনা---
দুই কানের দুইপাশ দিয়ে “ ইংলিশ”গুলি হ্যাভ” আর “ইঙ্গ” লাগিয়ে সাদা “সাবানের ফেনা” বনে জানালা দিয়ে উড়ে চলেছে---
কিছু কিছু শব্দ “ কুয়াশা ”চ্ছন্ন
দূর থেকে “ দীঘা র সমুদ্র দেখলে ঠিক যেভাবে
নিজেকে বড্ড অসহায়” মনে হয়---
ঘন্টা বেজে ওঠে----
কালো কালো অক্ষরগুলো একটু ক্লান্ত
অনেকক্ষন আছড়ে আছড়ে“ আখের রস” বের করাতে----মাথাগুলো“ সাইলেন্স জোন”
এ পৌঁছে যায়---
“খোলা হাসিখুশি আধা রাগি তিনতলা ছাদ” র ধীর গতিতে প্রত্যাবর্তন------
যতটা এনার্জি আসার সময় থাকে
যাওয়ার সময় তাঁর “হার্ট” যেন ক্লাশের এককোণে রেখে যায়---
কপালের কুঁচকানো ফিলিংস ” র ভিতরে ও বড় “হরপ্পা”র স্নানাগারে র হদিস পাওয়া যায়----
দাঁতের ফাঁক দিয়ে “ সততা” কেবলই প্রবেশ করছে---
বেরিয়ে কেবল ই অস্পষ্টবাদী বদ মোমবাতি” গুলো পুড়িয়ে দেয়----
“চেয়ার , টেবিলে র ” প্রতি একটা আমোঘ বন্ধন
সামনের দরজা দিয়ে আসা সকাল”
বিকেল, দুপুর ---সব ই “উনার ছাত্র---”
“মাথা নামানো গড়িয়ে আসা সন্ধ্যা”----
তাঁর মধ্যে থাকা এক টি “ ফুলের গাছ”
“ছোট্ট শিশুর খিলখিল হাসি”-----
এরাও উনার ছাত্র”----
সারা শরীরে জড়িয়ে থাকা “প্রিয় বাইকের গন্ধ”-----
চলতে থাকা খোলা রাস্তা
ধিমিধিমি সুরে গাওয়া “ কিশোর কুমার , অরিজিত সিং য়ের গান---
উড়ে যাওয়া রঙিন ঘুড়ি
কোন বাধাহীন কানে বাজতে থাকা “ অট্টহাসি”-----
ঝিমোতে থাকা “রোমান্সের কবিতা”
উঠে দাঁড়ানো “ভারত ছাড়ো আন্দোলন,লবন সত্যাগ্রহ, সিপাহী বিদ্রোহ,আইন অমান্য আন্দোলন ”
ক্লাসে দেওয়া লেকচার শুনছে-----
গান্ধিজী আজ ও“ অহিংস” নীতি নিয়ে প্রতিটি কলেজে ,স্কুলে ,প্রাইভেট স্কুলে,বিএড কলেজে লাঠি হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন---
“ইংলিশের” লেকচার শুনছেন---
নেতাজী” ও অনেকটা ক্লান্ত “বিদ্রোহী আত্মা” নিয়ে
“জ্বালাময়ী ” বক্তব্যে ক্লাশে ক্লাশে ঘুরে ফিরে---
ক্লাশরুম প্রতিটি ক্লাশে ই যেন নড়ে ওঠে----
এক একজন এক একভাবে নাড়ায়------
লাটাইয়ের প্রতিটি সুতোই” রঙবেরঙের----
শিক্ষা” নামক বড় গামলায় আমরা ডুবছি---
“ইংলিশ” জোন আস্ত একটা “সুইমিং পুল”---
“ বাংলা মিডিয়াম ” প্রাণীদের জগতে----
“ইংলিশ টিচার” বাংলার ছেলেমেয়েদের ব্যাগে “অর্ধেক ভগবান”---!
“ বই তে” শারদীয়া
==================
আমার দূর্গা বইগুলোতে লুকিয়ে আছে
পাতার সাদা সাদা হাতগুলো আমাকে মহিষাসুর ভেবে এগিয়ে আসে
ছন্দগুলো রক্ষনশীল একঘেঁয়ে কথাগুলো“মহালয়া”র সেই “যা দেবী সর্বাভূতেষু--”---
অসহ্য মন্ডপ চর্চা
কোন এন্টারটেনম্যান্ট নেই
“খোলা আকাশের” “বুকভরা মুক্ত অক্সিজেন নেই--!
টেবিল ভর্তি অহেতুক “সাজগোজের আবর্জনা--”?
খোলা বারান্দা
খোলা চুল
খোলা মন
দখিনা হাওয়ায় ------
মায়ের আলতাভরা পায়ের ছাপ-----
পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রোমান্টিক কিশোরকুমারের গান-----
সংগে গলা জড়িয়ে ধরে থাকা ভেজা প্রকৃতি
ভেজা প্রেম---
ভেজা চোখ---
শারদীয়া য় শুঁকতে থাকা এক আশ্চর্য অনুভূতি
আরব্য উপণ্যাসের শেষ পর্বের
দগ্ধ “শিহরন”----
চোখ খুললেই মনে হয়“ সুন্দর ধূপবাতির” গন্ধ উবে যাবে---
আবার “বই পত্র ”হেঁটে হেঁটে আসবে ক্লাশের“ ঘন্টা নিয়ে----------
কালো কালো অক্ষর গুলো যেন ষঁাড়ের ণ্যায় মাথার ভিতরে সারা বছর ধরে তাড়িয়ে বেড়ায়---?!
নজরুল
=================
একটু চোখে চোখ রেখে বিনা অভিমানে
হৃদয় দিতে পারেন?
বেকার গরিব তানপুরা টিতে
এক স্বর্গীয় সুর?
নজরুল” আবহাওয়া চারিদিকে
এক পশলা বৃষ্টিতে ভেজাতে পারেন?
নজরুল ” হাসি !
নজরুল” কান্না!
নজরুল” যন্ত্রনা ! সব
আমাতে ফ্ল্যাশব্যাক হচ্ছে
আস্তে আস্তে
কোন প্রেমিকের পাগল স্মৃতিতে হ্যাং ওভার হচ্ছি
মাথাটা বনবন করে ঘোরে
নেশা ছাড়ে না
ক্ষতি হবে জেনেও সিগারেট চিবিয়ে যাই!
প্রতিবাদী বাঁশি থিয়েটার গান
বেজে চলেছে
নিভৃতে নিশ্চুপে
মলিন প্রেম বারবার উলট পালট
এমনো ভালোবাসা
হয়
এক জন্মে বুকে জড়িয়ে থেকে মন ভরে না
সাত জন্ম ধরে কাউকে
দিন রাত
ভালোবাসা যেত
নতুনের দূত
পুরোনো পিছু ছাড়ে না
“ নজরুল রামধনু” বরাবর ই
আকাশের কোনে
জ্বলতেই থাকবে
সহস্র কালব্যাপী !
No comments:
Post a Comment