জিরো বাউন্ডারি কবিতার তৃতীয় বর্ষ/ দ্বিতীয় সংখ্যার জন্য লেখা জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ। দুটো কবিতা বা কবিতা বিষয়ক মৌলিক লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেলে-0boundarykabita17@gmail.com

ব্লগে অনুসন্ধান করুন

আফজল আলি






সম্পাদকীয় 
=================================



অনেক দিন পর আবার সম্পাদকীয়তে। কারণ মাঝে বেশ কয়েক মাস বন্ধ ষছিল আমাদের web magazine এর প্রকাশ । এটা অস্বীকার করার উপায় একদম ই নেই যে জিরো বাউন্ডারি একটা পরিসর করে নিয়েছে , সেই পরিসর অনেকটা বড়ো না হলেও তা নিজস্ব । নিজেদের মতো করে বলা , নিজেদের মতো কবিতার অঙ্গন তৈরি করে নেওয়া । এক্কেবারে শূন্য থেকে শুরু করে এত কম সময়ের মধ্যে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করা , তাও ভিন্ন একটি নব্য কনসেপ্টকে ভিত্তি করে । এত বাধা এত আঘাত । আমি নিজে প্রতিভাবান অনেক নতুন ছেলে মেয়েদের কবিতার জগতে তুলে এনেছি , তাদের লেখাকে পরিশীলিত করা থেকে শুরু করে এক্কেবারে সময়োপযোগী করে তুলতে সাহায্য করা , কবিতাকে চিনিয়ে দেওয়া । এই কাজটা করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে আমার নিজের লেখাতে অনেক বিরূপ প্রভাব পড়েছে , তবু কেন কীসের জন্য আমি এগুলো করি তা জানি না । আমাদের জিরো বাউন্ডারির WhatsApp group তো সেই শুরু থেকে একইভাবে চলছে তরুণতম থেকে সিনিয়র কবিদের নিয়ে । একই হুল্লোড় , একই প্রাণ । কবিতার । এখানে তরুণ কবিরা তাদের লেখাতে support পায় । অনেক তরুণ কবি জিরো বাউন্ডারি থেকে উঠে এসেছে এবং আমি প্রত্যক্ষ জড়িয়ে আছি এই কাজে। তবে এ সব স্বীকৃতিহীন । আমি প্রতিদান কিছুই চাই না । কেউ কেউ মনে রাখে , কেউ কেউ ভুলে যায় । এভাবেই চলছে । 

জিরো বাউন্ডারির শুরুতে যে লক্ষ্য ছিল , আমরা সরে যাইনি আজও । জিরো বাউন্ডারির প্রচার ও প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে web magazine বিভাগটি ই ছিল আমাদের একমাত্র হাতিয়ার এবং এই কাজে আমরা প্রথম থেকেই পেয়েছি রুমা ঢ্যাং অধিকারীর মতো একজন কাজ জানা দক্ষ সহযোদ্ধাকে। না হলে হয়তো জিরো বাউন্ডারি আজ এই জায়গায় এসে পৌঁছাতো না । এ ছাড়াও আমাদের সম্পাদক মন্ডলীর প্রতিটা সদস্যই টিম হিসেবে কাজ করে চলেছে । 

হ্যাঁ এটা ঠিক আমরা কবিদের বিভিন্ন কবিতা পাঠের আসরে মুখ দেখানোর সুযোগ করে দিতে পারি না , সে সামর্থ আমাদের এখনো পর্যন্ত তৈরি হয়নি কারণ আমরা লবিবাজি আর ন্যাকা কবিতার পিঠ চুলকে দিতে পারি না , পারি না রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্র তৈরি করতে । কিন্তু আমরা যেটা পারি তা হল কবির লেখাকে ধারালো করে দিতে যাতে কবি যেকোনো পরিসরে খেলতে পারবেন । এটা বেশ confidence নিয়েই বললাম । তবে এর জন্য আমাদের বিশেষ করে আমাকে মূল্য চোকাতে হয়েছে । অনেক অনেক বন্ধু বিচ্ছেদ । কিন্তু আশার আলো ও আছে । নতুন নতুন মানুষ তথা তরুণ কবির কাছে পৌঁছাতে পেরেছি আমরা এই অল্প সময়ের মধ্যে , তৈরি হয়েছে নতুন বন্ধু-পরিসর , বিস্তারে চলে গেছে জিরো বাউন্ডারি । হ্যাঁ আমরা নতুন কথা বলতে চাই , নতুন পথ ও মতবাদ । নতুন কিছু বলার যোগ্যতা তো সবার থাকে না, পারে না । সবাই স্রোতে চলতে ভালোবাসে , আরাম বোধ করে , ঝুঁকি থাকে না । স্রোত বেয়ে পৌছে যাওয়া যায় মধুপুরে , হয়তো ফ্লাস-লাইটে। কিন্তু নতুন নতুন নিজস্ব পথ তৈরি করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বন্ধুর। তবু কী এক অদ্ভুত শক্তি , উদ্যোম ভিতরে কাজ করে চলে নতুনের জন্য । এই মুহুর্তে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে জিরো বাউন্ডারি অনেকের কাছে পৌছে গেছে এটা কম নয় । একটা বিষয় উপলব্ধি করেছি নতুন কোনো দর্শন বা মতবাদ বা ধারণা তৈরি হয়ে গেলে তা stand হয়ে থাকে , যতই বাধা বিপত্তি ঝড় এবং বৈরিতা ক্রিয়া করুক । তৈরি হওয়া নতুন ধারণা ঠিক মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে । এটাও একটা দর্শন , শিক্ষণীয় । 

এখন অনেকেই জেনে গেছেন জিরো বাউন্ডারি লুজ এবং কাঁচা কবিতা প্রকাশ করবে না, তাদের sponsor করবে না কারণ আমাদের কোনো বাণিজ্যিক অভিমুখ নাই , নাই নিজেদের গ্রুপ তৈরি করার তাগিদ । তবে আমরা একসঙ্গেই চলতে চাই এটা আমাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি । 

কিছু কিছু তরুণ কবির কাছে আমরা অন্তত বার্তা পৌঁছাতে পেরেছি যে কবিতার একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে হবে এবং তার জন্য শব্দের জাড্যধর্ম ভাঙা শিখতে হবে , জানতে হবে । উত্তর আধুনিকতার পরে যে নতুন কিছু হতে পারে , নতুন আঙ্গিক , নতুন কথা, নতুন পথ ও অভিমুখ এটা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে আমরা অনেকটা সফল। তবে সব কবি-ই প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা পেতে চায় , আলোকিত হতে চায় । আবার কেউ কেউ নিঃশব্দে পথ তৈরি করতে চায় । এ সব মিলে মিশেই থাকবে। 

লেখা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তরুণদের সুযোগ দেওয়ার জন্য হয়তো একটু শিথিলতা হতে পারে কিন্তু কবিতা হয়ে ওঠার ব্যাপারে কোনো compromise করি না । আমরা নতুনদের সুযোগ দিতে চাই , তুলে ধরতে চাই। পঁয়ত্রিশ জন কবির কবিতা নিয়ে এবারের সংখ্যা পাঠকের ভালোবাসা অর্জন করবে এ আমার বিশ্বাস আর জিরো বাউন্ডারি web magazine এর সার্বিক কাজ ও সাজানো এতটাই অনন্য যে তা যেকোনো পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য এবং সৌজন্যে অবশ্যই আমাদের অন্যতম সম্পাদক রুমা ঢ্যাং অধিকারী । 

ভালো থাকুন সকলে , সুস্থ থাকুন মানসিক ও শারীরিক ভাবে । আমাদের বাংলায় যেন বাংলার মান নিয়েই থাকে , আমাদের মাতৃভাষা হোক আমাদের রক্তের বহমান শক্তি, আমাদের শ্বাস বায়ু । যতই আঘাত আসুক । কলকাতা তথা বাংলা সারা ভারত তথা পৃথিবীর সাহিত্যের অন্যতম পীঠস্থান , আমাদের গর্ব আমাদের গর্ব । ভারি ভারি শব্দের মোহজাল এবারেও তৈরি করলাম না 







No comments:

Post a Comment