জিরো বাউন্ডারি কবিতার তৃতীয় বর্ষ/ দ্বিতীয় সংখ্যার জন্য লেখা জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ। দুটো কবিতা বা কবিতা বিষয়ক মৌলিক লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেলে-0boundarykabita17@gmail.com

ব্লগে অনুসন্ধান করুন

সোমনাথ বেনিয়া






লে পাগলু ডান্স ডান্স 
===================================

সবাই কেমন চুপ মেরে যাচ্ছে। থম এগিয়ে আসছে। আঙুল তুলে কেউ শাসিয়ে গেছে। একদম স্পিকটি নট! মহামুশকিল। কিছুই বলা যাবে না। কেন? হাঁড়িকাঠে অনেকদিন রক্তের কোনো উল্লাস নেই। প্রাগৈতিহাসিক গিলোটিন, শূল, করাত, হেমলক ইত‍্যাদি বস্তুবাচক ছবি হয়ে গবেষণাগারে লাট খাচ্ছে। তবে দুম করে 'গুম' হ‌ওয়ার ব‍্যাপারটি আনাচেকানাচে ভীষণ সিরিয়াস ম‍্যাটার হয়ে পথের বাঁকে, গুমটিতে, গলির বাঁশের মাচায় আলোচিত হয়। তবে একটু বুঝতে ভুল হয়েছে মনে হয়। নিজেরটা বলা যাবে না। বলা যাবে যা কিছু আরোপিত। যন্ত্ররমন্ত্ররে যেভাবে মগজ ধোলাই হ‌ওয়ার পর কোরাস কন্ঠে মাননীয়/মাননীয়ার স্তুতিপর্ব চলে, সেভাবে বলবে। সবাই শুনবে। বাহবা, হাততালি, পুরস্কার, শংসাপত্রের প্রশংসায় গুষ্টি উদ্ধার হবে। সো ডোন্ট ক্রশ ইয়োর লিমিট। হেয়ার স্কাই হ‍্যাজ আ লিমিট। ইউ নো। ইউ বেটার নো! বেশি উড়লে ডানা কম পড়বে। বেশি লাফালাফি করলে ফিজিক‍্যালি চ‍্যালেঞ্জের কার্ড হাতে পাবে। রঞ্জনার প্রেমিকের ঠ‍্যাং-এর কথা মনে পড়ে। তাহলে কি ভয়ে পাড়া বদলে ফেলবো? সে-কী, কোনো মায়া নেই। নিজের স্পন্দন শুনতে পাও না নাকি স্টেথস্কোপ ইজ ডেড। ডেড সিওর! নো হেয়ারিং এইড অলসো। হোয়াট আ কোয়েনসিডেন্স। সশব্দে শ্বাস নাও, প্রশ্বাস যেন শব্দহীন থাকে। যেন চুপিচুপি বিড়াল রান্নাঘরের কাজ সেরে ওবাড়ির আটচালার উপর দুপুরকে চাদর বানিয়ে আরামে চোখ বুঝে থাকে। ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি! যত পারো দেখো। তবে বলতে গেলে ভাবনার উপর ফিল্টার পেপার লাগিয়ে রেখো, কেমন। ভেরি নটি! এভাবে কি চলা যায়। আলবাত যায়! কী লেখা আছে, পড়ো - অল কোয়ায়েট ইন দ‍্যা ওয়ের্স্টান ফ্রন্ট! এখানে কোনো দিক থাকতে নেই। যদি কিছু থাকে তাহলো বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনের ট‍্যাগলাইন। স্লোগানের মতো উচ্চারিত হবে। চিন্তার টাইমলাইনে 'যেমন আছে, তেমন চলুক' পোস্ট দেবে। তারপর তিন ঘরের বন‍্যা বয়ে যাবে। এত ভাবছো কেন! হাতে-পায়ের নখ বড়ো হলে কেটে ফেলতে হয়। কেন? সো সিম্পল মাই চাইল্ড। বেশি বাড়বাড়ন্ত ভালো নয়। আঁচড় লেগে যাবে। ছোটোখাটো ক্ষত থেকে বায়োপসি। কার ভালো লাগে। কচি মাকড়সার জাল কুমারী নারীর স্তনের মতো। নেক নজর না ডালিয়ো মেরে ইয়ার। পেকে গেলে, গাঢ় কালো হলে, যেন কোনো প্রবীণা বেশ‍্যার ঝুলন্ত শীর্ণ, থলথলে রোজগারহীন আদুরে ক্ষেত্রফল। ওর ভিতর বাতাস কত সংযমে থাকে। না জানলে, জেনে নাও। তবে খেয়াল রেখো পারদ যেন উপরে না ওঠে। এখানে উর্দ্ধস্থিরাঙ্ক বলে কিছু হয় না। বাঁ হাতের উপর নির্ভরতা রেখে ডান হাতে রেখো সংশয়। এটাই নিয়ম, গুরু! বেশি হাউমাউ কোরো না। ফিরতে শেখো। মনে রেখো সব পথের শেষে তেমন কোনো ঘর থাকে না। তবে দেরি কেন, লে পাগলু ডান্স ডান্স ...



No comments:

Post a Comment