জিরো বাউন্ডারি কবিতার তৃতীয় বর্ষ/ দ্বিতীয় সংখ্যার জন্য লেখা জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ। দুটো কবিতা বা কবিতা বিষয়ক মৌলিক লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেলে-0boundarykabita17@gmail.com

ব্লগে অনুসন্ধান করুন

রুমা ঢ্যাং অধিকারী



সম্পাদকীয়
===============================



এত হৈচৈ, এতকিছুর আত্মসাৎ, এত খ্যাতির পেছনে দৌড়ানো আর লাগামছাড়া চাহিদা সত্ত্বেও দিনের শেষে আমরা যেন কোথাও ধীরে ধীরে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি। ঘোড়ার রশিটা আমাদের নিজেদের হাতে রেখে ট্রাফিকপুলিশের ভূমিকা নিয়েও আমরা কেমন জটের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছি। সময়টা অস্থির সে রাজনৈতিক হোক বা সামাজিক। এই বর্ষাকালটাই ধরা যাক ভরা শ্রাবণে জল থৈ থৈ রাস্তা বাস্তবের চেয়ে স্বপনেই বেশি ধরা পড়ছে অন্তত কলকাতাবাসীর ও তার আশেপাশের অঞ্চলে। ছিটেফোঁটা যাও বা বৃষ্টি হচ্ছে মন ভরছে তো নাই তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আদ্রতা নাকানিচোবানি খাওয়াচ্ছে। মরার সময়ে মকরধ্বজের মত সবুজায়নের কিছুটা বিপ্লব হচ্ছে চারিপাশে। প্রায় প্রতি রবিবার কোথাও না কোথাও বৃক্ষরোপণের কার্যাবলী হচ্ছে সেটা ফেসবুক খুললেই দেখতে পাই আর এই কাজে আমার ঘরের লোক কিছুটা ব্রতী বলে খবরও পাই। আর মোহ হলো একটা বন্ধন যা অনেক সন্দেহাতীত সময়েও আমাদের আকর্ষিত করে রাখে আর আমাদের সেই পুরানো কাজে লিপ্ত রাখে, সচল রাখে। 

মাথার ভেতর ইঁদুরমারার ফাঁদ
রাস্তা গিয়েছে অনেকদূর, প্রান্তীয় চিতল বুক
তাতে রাষ্ট্রীয় সঙ্গম গড়েছে রাজপথে অনায়াস যাতায়াত

মৃতসুখে পিঁড়ি পাতা 
আর ভুলে যাওয়া চালুনিতে ধোঁয়া দেখে
   আপনি স্বগর্বে মাড়িয়ে গিয়েছিলেন শামুখজল
মিথ্যের উনুন চারফুট। ফোটালেন নিরাময়ী সংযম অনেক 

এখন দশকাঠা রোদ দেখে কুয়াশার হাহাকার নামিয়ে রেখেছে ধ্বংসস্তূপ 
এখন টনক নিয়ে সরগরম হলেন বিশ্বম্ভরপূজারি সকল

কষ্টিপাথর ঘষেমেজে মডিউলার রামধনু কি বাঁচাবে অবশিষ্ঠ খড়কুটোর ফিসটেল?  
মেঘ বয়ে এনেছিল যারা তারা কি জানে 
                     মাচার ছাড়পত্র কোথায়?  
আপনার তখনও ত্যাগের ভীতি 
   আর শব্দহীন শিরোনামের জ্বর 


এই দেখলেন,  সম্পাদকীয় লিখতে বসে একটা কবিতাই নামিয়ে ফেললাম যদিও জানিনা আদৌ কবিতা হয়ে উঠল কিনা ! আমরা যারা একটু আধটু লেখা নিয়ে আছি তারা লিখতে পেরেছি তো ব্যস মন চলল সম্পাদকীয় ছেড়ে নিজ নিকেতনে। এই এক অসুখ। আর এই অসুখের মধ্যেও আমরা সুখ খুঁজে পাই শব্দের ফোয়ারা দেখলেই। যাই হোক, সমস্তপ্রকার হাঁসফাঁস থেকে কিছুটা সময় দাবী করে এই পত্রিকা আমাদের আনন্দদান করবে নিশ্চই। ভিন্ন ভিন্নধর্মী কবিতায় এবারের পত্রিকা সেজে উঠেছে এবং আশা রাখছি সবার ভালো লাগবে। আপনাদের মন্তব্যের আশায় রইলাম। কিছু সাজেশন থাকলে অর্থাৎ জিরো বাউন্ডারি কবিতা পত্রিকায় আপনাদের প্রত্যাশাগুলো আমাদের কাছে নিবেদিত হলে ভবিষ্যতে তার ছাপ ফেলতে পারে পত্রিকা জগতে। সাহায্য একান্ত কাম্য।  

যেকথা না বললেই নয় সেটা হলো গত তিনটি সংখ্যা আমরা অনিবার্যকারণবশত স্থগিত রেখেছিলাম। এবারে ষষ্ঠ সংখ্যায় সেই না প্রকাশিত হওয়া মাসগুলোয় যতগুলো কবিতা ইমেলে জমা পড়েছিল সেখান থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন জমা পড়া আপনাদের লেখার সাথে প্রকাশিত করা হলো চারটে সংখ্যা একত্রিত হয়ে। 
আগাম ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা যারা লিখলেন ও যারা পত্রিকাটা পড়বেন সবাইকে। অবশেষে আরও একবার বলি গাছ লাগান, গাছ বাঁচান আর আপন প্রাণও ফেরান। আগামী পৃথিবীতে অবসাদ নয় আস্বাদ লেগে থাক বাঁচার। 






No comments:

Post a Comment