জিরো বাউন্ডারি কবিতার তৃতীয় বর্ষ/ দ্বিতীয় সংখ্যার জন্য লেখা জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ। দুটো কবিতা বা কবিতা বিষয়ক মৌলিক লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেলে-0boundarykabita17@gmail.com

ব্লগে অনুসন্ধান করুন

পল্লব কর্মকার




১)  কে বলে আমার বাড়ি নেই!
======================


শতাব্দীর তিন শতক ভিতের উপর আমার তিন তিনটে বাড়ি
একটি বাড়ি খড়ের চাল,মাটির দেওয়াল
গ্রীষ্মে শীতল, শীতে উষ্ণ
বজ্রপাত গিলে নেয় রুদ্রের মতো, এক মায়া প্রাসাদ,
ছাঁচা বেয়ে জল পড়ে দুঃখে, সবার অলক্ষ্যে, নিঃশব্দে
অর্ধেক কান্না তো শুষে নেয় খড় নিজেই!
বাড়িটা ঠিক আমার মায়ের মতো জানেন!

আরেক বাড়ি টিনের চাল, পাকা দেওয়াল,মজবুত
গ্রীষ্মে যেমন উষ্ণ, শীতে তেমনি দাঁতাল
যেন একটুতেই মাথা গরম, আবার একটুতেই ঠান্ডা!
ঢেউ খেলানো টিনের চাল যেন কপালের সজ্জিত ভাঁজ
ঠিক আমার বাবার মতো...

শেষ বাড়িটি চিকন প্রাসাদ, কংক্রিট ছাদ, বিলাস মহল
প্যারিস করা মোলায়েম দেওয়াল...
গ্রীষ্মের উষ্ণতায় একবার গরম হলে....তাকে ঠান্ডা করা!!
হ্যাঁ মজবুত অট্টালিকা বটে, অহঙ্কারে,আমিত্বের কংক্রিটে
আসবাবের পারিপাট্য আমায় দেখায় যোগ্যতার আয়না
ঠিক আমার স্ত্রীর মতো...একেবারে মিসেস... মি* শেষ।

সময়ের আঘাতে নাকি
প্রতিটা "মা" কেই কংক্রিট থেকে মাটির বাড়ি হতে হয়
আর যারা হতে পারে না...তাদের তো আপনারা দেখেছেনই..!




২)   চা
===========================


প্রথমে খোলা আঁচে স্বপ্নের জল বসিয়ে দিন
আর যেই সে জল স্ট্রাগেলের উষ্ণতায় ফুটে উঠবে
তাতে ঝট করে দিয়ে দিন
 তিন চামচ বিয়ের প্রেসার,ওই যে চা পাতা!
তার পর তাকে হালকা আঁচে ফুটতে দিন
যতক্ষণ না তার ভিতরের লিকার বেরিয়ে আসে!
সাথে সাথে টুকরো "শ্লেষ" আদা,
হ্যাঁ প্রথম প্রথম ঝাঁজ লাগবে, কিন্তু পরে শয়ে যাবে...
তাতে এক চামচ "লোকে কি বলবে!" নামক চিনি...
মিষ্টি ছাড়া তো আবার স্বাদ আসে না!
তারপর সমাজের ছাঁকনিতে ছেঁকে নিয়ে
মিশিয়ে দিন "মাতৃত্ব" নামক দুধ!
ব্যাস,আপনার চা তৈরি...
স্বপ্ন পুড়ে, চা তৈরি..।

আর হ্যাঁ,একটু ভালোমানুষির এলাচ্ ফেলে দিলে
মাইরি, ভারি সুন্দর গন্ধ ছড়ায়...




No comments:

Post a Comment